প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'রাজধানীর তিনটি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খোলাবাজারে নিয়ম না মেনে ডলার কেনাবেচা করায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধন ছাড়াই বিদেশি মুদ্রা লেনদেন করায় ১১টি মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।'
'এক বছরে আন্ত ব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১১.৭০ শতাংশ। আর ব্যাংক ও খোলাবাজারে বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে ব্যাংকে ক্ষেত্রবিশেষে ১০ টাকা আর খোলাবাজারে ১৮ টাকা বেশিতে বিক্রি হতে দেখে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গুলশানের একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানান, ডলার কেনার জন্য অনেকেই আসছেন, তবে বিক্রি করার লোক কম। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদারকির কারণে অনেক ব্যবসায়ীই ডলার কেনাবেচা করতে ভয় পাচ্ছেন।'
-এর আগে গত ২৬ জুলাই রেকর্ড ১১২ টাকায় পৌঁছেছিল ডলারের দাম। মনিটরিংয়ের কারণে পরদিন বুধবার দাম ১০৮ টাকায় নেমে আসে। গত বৃহস্পতিবার দাম দুই টাকা বেড়েছিল। গত সপ্তাহে কয়েকজন মানি চেঞ্জার ডলারপ্রতি ১১২ টাকা চার্জ নেওয়ার পর বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন পরিদর্শনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজধানীতে ১০টি দল মোতায়েন করে।
মাঠে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থা
''ইচ্ছামতো দাম হাঁকিয়ে দেশের ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করছে গুটিকয়েক মানি এক্সচেঞ্জ। এমন ১৬৫টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
ডলার সংকট: নিবন্ধন স্থগিত তিন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের
পরে যৌথ অভিযানে নামে সংস্থা দুটি। ব্যবস্থা নেওয়া হয় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ডলার মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।'
-গত রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার ৩০টি টিম মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাকে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেশের কার্ব মার্কেটে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশীয় আমদানি-রপ্তানিকারকরা। গতকালও কয়েকটি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল।
'বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। রেমিট্যান্স বাড়ছে। আমদানি কমছে। আশা করছি, শিগগিরই ডলার বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।'